হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল আব্দুর রহিম মুসাভি কাতারের উপপ্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা খালেদ বিন মোহাম্মদ আল আতিয়াহর সঙ্গে এক টেলিফোন সংলাপে এ মন্তব্য করেন।
ফোনালাপে মুসাভি কাতার সরকারের পক্ষ থেকে ইরানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনকারী আগ্রাসনকারীদের নিন্দা জানানোর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, “কাতার সেই দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম, যারা নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগণের সংগ্রামের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছে।”
মুসাভি আরও বলেন, “ইসরায়েলের চাপিয়ে দেওয়া এই ১২ দিনের যুদ্ধে ইরানের প্রতিরোধ ও প্রতিক্রিয়া ছিল আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে সম্পূর্ণ বৈধ। এই যুদ্ধে বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র ও জায়নবাদী ইসরায়েল কোনো আন্তর্জাতিক নীতি বা নৈতিকতার তোয়াক্কা করে না।”
তিনি উল্লেখ করেন, “এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে—গোপন গোয়েন্দা তথ্য থেকে শুরু করে লজিস্টিক সহায়তা পর্যন্ত সবকিছু দিয়ে, যেন তারা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আক্রমণ প্রতিহত করতে পারে।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ঔদ্ধত্যের মুখে মাথা নত করেনি, বরং আগ্রাসনকারীদের বিরুদ্ধে পূর্ণ শক্তি দিয়ে জবাব দিয়েছে।”
উল্টোপ্রান্তে, কাতারি উপপ্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিন থেকেই কাতার ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসনের দৃঢ়ভাবে নিন্দা জানিয়েছে এবং বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, কাতারের আকাশসীমা বা ভূখণ্ড কোনোভাবেই সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। পাশাপাশি, কাতার বরাবরই কূটনৈতিক সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।
আপনার কমেন্ট